নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক নিরাপত্তা চেয়ে সোনারগাঁ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে তিনি বাদী হয়ে থানায় জিডি করেন। এর আগে বুধবার সকালে চেয়ারম্যানের ভাই ও তার ছেলেকে লাঠি ও রামদা নিয়ে ধাওয়া করে ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল। এসময় প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জিডিতে উল্লেখ করা হয়, তিনি উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদের দুইবারের চেয়ারম্যান। তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় নির্বাচন করেননি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল। তবে এখনো দায়িত্ব হস্তান্তর হয়নি। নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিন প্রার্থী নাজমুল হক, ইব্রাহিম খলিল ইবু ও জাকির হোসেন। ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন নাজমুল হক।
জহিরুল হক জানান, ইউপি সদস্য নির্বাচনে তিনি কাউকেই সমর্থন দেননি। কিন্তু পরাজিত হয়ে ইব্রাহিম খলিল ইবু ও জাকির হোসেন নির্বাচনেরদিন রাতে একত্রিত হয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়। এতে ভাই, ভাতিজা, ভাইয়ের স্ত্রী আহত হন। আহতদের ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনার পর তৃতীয় ধাপে এ ইউনিয়নের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান লায়ন মাহবুবুর রহমান বাবুল বিরোধ মীমাংসা করে দেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনার প্রায় এক মাস পর আজ বুধবার সকালে চেয়ারম্যান জহিরুলের ভাই ওবায়দুল ও তার ছেলে হাফিজুলের ওপর বারদী বাজারে ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে সৈকত রাসেল, মানিকসহ ১০-১২ জনের একটি দল হামলা চালায়।
বারদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহিরুল হক বলেন, ‘আমি এখনো এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এখন আমি জীবনের নিরাপত্তা হীনতাই ভুগছি। আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়ি পর্যন্ত আমার পরিবারের সদস্যদের ধাওয়া করে নিয়ে যায়। জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সোনারগাঁ থানায় আমি সাধারণ ডায়েরি করেছি।’
অভিযুক্ত ইব্রাহিম খলিল বলেন, জহির চেয়ারম্যান তার প্রভাবে ভাতিজাকে নির্বাচিত করেছেন। তবে হুমকির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি। সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান জহিরুল হক নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।