বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সাংসদেরা বলেছেন, এক দিনের যে গণতন্ত্র ছিল, সেটাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে। ভোটাররা যদি ভোটকেন্দ্রে না যান, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দিয়ে কী হবে, সে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।

গতকাল শনিবার দুপুরে সংসদে যখন এই আলোচনা চলছিল, তখন সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা) সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হচ্ছিল। সেখানেও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। মূলত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থার জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়ী—এই অভিযোগ করে আসছে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরাও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করছেন।
গতকাল জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল, ২০২১ পাস হয়েছে। এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির দুজন এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) একজন সাংসদ নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জাপার সাংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। একদিনের যে গণতন্ত্র ছিল, সেটাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংসদে বিরোধী দল দাঁড়াতে না পারলে সরকার অত্যাচারী হয়ে যেতে বাধ্য। ‘অ্যাবসলিউট পাওয়ার করাপ্টস অ্যাবসলিউটলি’ (নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সর্বগ্রাসী দুর্নীতির জন্ম দেয়) সে রকম হোক, তা তাঁরা চান না।
বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপার এই সাংসদ বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণের আগে আমাদের দেখা দরকার মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন কি না? আজও (গতকাল) সিলেটে ভোট হচ্ছে, কতজন কেন্দ্রে যাবেন, জানি না। মানুষ যদি ভোটকেন্দ্রে না যান, তাহলে সীমানা নির্ধারণ করে কী করব, ইলেকশন কমিশন বা বাজেট দিয়ে কী করব?’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ক্ষমতার বাস্তবায়ন করে না। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না, এটি সবচেয়ে বড় জাতীয় সংকট।
সূত্র: প্রথম আলো