নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লায়ন মাহাবুবুর রহমান বাবুলের অব্যাহতি উপজেলা আ.লীগেও বহাল রেখেছেন আহ্বায়ক কমিটি। এর সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তি করায় কারণ দর্শানোর চিঠিও দিয়েছে আহ্বায়ক কমিটি।
শনিবার বিকেলে সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলন করে এ বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চান বাবুল।
সোনারগাঁ উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে এসময় ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল কায়সার, যুগ্ম আহ্বায়ক ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম, নারায়ণগঞ্জ জেলা আ.লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনসহ কমিটির অন্য সদস্যরা।
উপজেলা আ.লীগের আহ্বায়ক অ্যাড. সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, ইতোমধ্যে গত ১৭ তারিখ জেলা আ.লীগ লায়ন বাবুলকে সাময়িক বহিষ্কার ও কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়াও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তকে আমরা স্বাগত জানাই। এছাড়া কেন্দ্রীয় আ.লীগের কাছে আমরা বাবুলকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করবো। তিনি আরো বলেন, আ.লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি উপজেলার ১০ জন চেয়ারম্যানের বিষয়ে বেফাঁস মন্তব্য করায় তাকেও এ সভার মাধ্যমে সতর্ক করা হয়েছে।
চেয়ারম্যান সামসু বলেন, আমরা তাকে অব্যাহতি দিতে পারিনা। উপজেলা আ.লীগের পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে লায়ন বাবুল যে বেফাঁস মন্তব্য করেছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা কেন্দ্রে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য চিঠি দিয়ে সুপারিশ করবো। লায়ন বাবুলের এ বক্তব্য ক্ষমার অযোগ্য। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান হয়ে বাবুল দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ড করেছেন।
জানা যায়, সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের পাইকপাড়া দেওয়ান বাড়ির বাৎসরিক ওয়াজ মাহফিলে ইউপি চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যদি এখানে আসতে হলে আমার অনুমতি লাগবে। এ বক্তব্যেও পর সোস্যাল মিডিয়ায় ঝড় ওঠে। তিনি আরো বলেন, আমি এখানকার ম্যাজিস্ট্রেট। আমি যা বলবো তাই হবে। আমি যদি সুইচ অফ তাহলে দিস ইজ অফ। প্রশাসন আমার পক্ষে কাজ করবে। কারও ফোনে প্রশাসন এখানে আসবে না।