নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও পৌরসভার দত্তপাড়া এলাকায় মাইক্রোবাস খাদে পড়ে সোনারগাঁও থানার দুই উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরো এক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আহত হয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় পৌনে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। আহত এএসআইকে ঢাকা মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহতরা হলেন ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার মুনসুরাবাদ গ্রামের কাজী নুরুল ইসলামের ছেলে কাজী সালেহ আহম্মেদ ও গোপালগঞ্জের চরভাটপাড়া গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে এসএম শরীফুল ইসলাম। তারা সোনারগাঁও থানায় কর্তরত ছিলেন। পরে রাত ৮টার দিকে ফায়ার সার্ভিস এসে গাড়িটি উদ্ধার করে।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শফিকুল ইসলাম জানান, নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটি প্রেস ব্রিফিং শেষে সোনারগাঁও থানায় কর্মরত এসআই কাজী সালেহ আহম্মেদ, শরিফুল ইসলাম ও এএসআই রফিকুল ইসলাম মাইক্রোবাসযোগে থানায় ফিরছিলেন। পথে সোনারগাঁওয়ের দত্তপাড়া এলাকায় তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরের খাদে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজী সালেহ আহম্মেদ ও শরিফুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী টমটমচালক মোক্তার হোসেন জানান, সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে দত্তপাড়া বাদশা গ্যারেজের একটু সামনে একটি প্রাইভেটকার দ্রুত গতিতে এসে পুকুরে পড়ে যায়। গাড়িটি মহাসড়ক থেকে সোনারগাঁও থানার দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটি পুকুরে মুহূর্তের মধ্যে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা পুকুর থেকে পুলিশের তিন সদস্যকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আমার টমটম দিয়েই নিয়ে আসি। হাসপাতালে আনার পর দুজনকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মুনসুর আলী বলেন, গাড়িটি পুকুরে পড়ার পর রশি বেঁধে গাড়িটি উল্টে ইট দিয়ে গ্লাস ভেঙে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পর দুজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত এএসআইকে আমি নিজেই চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে এসেছি।
প্রধান উপদেষ্টা: এ জেড এম নজরুল ইসলাম
উপদেষ্টা: হাফিজুল হক দোলন
সম্পাদক: ফারুক হোসাইন