মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অবস্থান জিরো টলারেন্স রয়েছে বলে জানিয়েছেন তালতলা বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এ কে এম ইকবাল হোসেন । সোমবার সন্ধ্যায় সময় পোস্ট এর সাথে একান্ত সাক্ষাত কালে তিনি একথা বলেন। তিনি আরো বলেন, মাদকের সাথে কোনো মানুষ জড়িত থাকলে অবশ্যই আমরা তার বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনগত ব্যবস্থা নিবো। এ ব্যাপারে কোনো আপোষ করা হবে না।
এ কে এম ইকবাল হোসেন আরো বলেন, আপনারা জানেন এ এলাকা এক সময় মাদক ও জুয়ার আসর বসতো। আমি এই তদন্ত কেন্দ্রে যোগদানের পর থেকেই মাদক, জুয়া ও ইভটিজিংসহ সকল অপরাধ মুলক কর্মকান্ড বন্ধ করতে ইতিমধ্যে কাজ করে যাচ্ছি।প্রায় ৫মাসে এই এলাকায় অনেক মাদক ব্যবসায়ী ও জুয়ারীসহ যারা অপরাধের সাথে জরিত ছিলো তাদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছি। আর কয়েকজন ভালো হয়ে যাবে এমন প্রতিশ্রুতি দিলে কয়েকজন কে নিজের টাকা দিয়ে তাবলিক জামাতে পাঠিয়ে দিয়েছি। ফলে এসব এলাকা থেকে ইতোমধ্যে অনেকটা মাদক ও জুয়ার আসর বন্ধ হয়েগেছে। গত রবিবারও সাদিপুরের শীর্ষ ৬ মাদক মামলার আসামি ও ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত মসুকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি সকলের সহযোগীতায় দ্রুত এ এলাকা থেকে পরিপূর্ণভাবে মাদক মুক্ত, ইভটিজিং ও জুয়া খেলা বন্ধ করতে পারবো।
এছাড়া এসব এলাকায় আগে গাড়ি থেকে দৈনিক চাঁদা দিতে হতো । বর্তমান কোন পরিবহন এক টাকাও চাঁদা দিতে হয়না ।এছাড়া জুয়া ও ইভটিজিং বন্ধ করতে পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছি। অনেক মানুষ মনে করে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে টাকা লাগে। অভিযোগ বা সাধারণ ডায়েরী করতে কোন প্রকার টাকা লাগে না। এমনকি আমরা কোনো অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত করে সাথে সাথে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করি।
এ কে এম ইকবাল হোসেন বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি এবং জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো ‘বিট পুলিশিং’। ইতোমধ্যে ‘বিট পুলিশিং’ সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। আর এর মাধ্যমে জনগণ তাদের সমস্যা পুলিশের কাছে তুলে ধরতে পারে।
তালতলা এলাকার কয়েকজন গাড়ি চালক জানান, আগে অনেক অটো থেকে কিছু লোক চাঁদা আদায় করতো। না দিলে আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানিসহ বিভিন্ন ভোগান্তি পোহাতে হতো। এখন ফাঁড়ি ইনচার্জ ইকবাল স্যার আশার পর থেকে কোনো গাড়ি থেকে কেউ চাঁদা আদায় করতে পারে না। ফলে স্বাচ্ছন্দে ও নিরাপদে সড়কে গাড়ি চালাতে পারি।
জামপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শাহ্ মো. হানিফ জানান, ইনচার্জ ইকবাল হোসেন যোগদানের পর থেকেই এ এলাকা থেকে মাদক, জুয়ার আসর, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও ইভটিজিং বন্ধ হয়েছে। ফলে ইউনিয়নবাসী স্বাচ্ছন্দে চলাচল করতে পারি। বর্তমান ইনচার্জ ইকবাল হোসেন এই ফাঁড়িতে র্দীঘদিন থাকলে ৪টি ইউনিয়নের মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।