সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার কারুশিল্পের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে কারুপন্যের বিপনন প্রসারের লক্ষে ফাউন্ডেশন চত্বরে কারুশিল্পে ৪৮টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
২৬ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কারুশিল্পের উন্নয়নের ফলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার দর্শনার্থীর আগমন ঘটে ফাউন্ডেশনে। করোনা দিন দিন স্বাভাবিক হলে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাবে।
এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. আহমেদ উল্লাহ, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খ- অঞ্চল শেখ বিল্লাল হোসেনসহ আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সপ্রসারণ এবং অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ উন্নয়ন প্রকল্পটির ভৌত নির্মাণকাজ গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পে ১শ’৪৭ কোটি ২৬ লাখ ৮ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে, জাদুঘর ভবন, অডিটরিয়াম ভবন (মাল্টিমিডিয়া হল), লোকজ রেস্তোরাঁ-কাম-স্যুভেনির সপ, বাংলো (রেস্ট হাউজ), লেক খনন, লেকের পাড় সুরক্ষা ইত্যাদি। ইতোমধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক ২৩টি ভৌত নির্মাণ কাজের জন্য ৮৯ কোটি ১৭ লাখ ২৩ হাজার ২২৯ টাকার দরপত্র অনুমোদন করা হয়েছে।
সয়েল টেস্ট, পাঁচটি টেস্ট পাইল বোরিং এবং ৭০০টি সার্ভিস পাইল নির্মাণ, নির্মাণ এলাকায় সাইট অফিস তৈরি, সার্ভিস রাস্তা তৈরিসহ ইত্যাদি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ প্রকল্পের সকল কাজ আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ মধ্যে শেষ হওয়া কথা রয়েছে।