Dhaka 10:09 am, Tuesday, 16 September 2025
শিরোনাম:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ট্রাম্প পরিকল্পনায় ভেটো জেলেনস্কির ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার চার্জশিট ১৫ দিনের মধ্যে: জিএমপি কমিশনার ছাত্রদলের কমিটির মাধ্যমে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে: শিবির সেক্রেটারি নির্বাচন সিস্টেমের উপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে : সিইসি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানুষের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব: তারেক রহমান তারেক রহমান আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল গণপূর্ত প্রকৌশলী ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর আব্দুল্লাহ্ আল মামুন তারেক রহমান সর্ম্পকে কুটক্তি মন্তব্য করেও বহাল তবিয়তে টেন্ডার বানিজ্যে গণপূর্তে ছাত্রলীগেই আস্থা, হাজার কোটির টেন্ডার বানিজ্য করতে ভোলা থেকে রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন রিজু গোপালগঞ্জ পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনীর বিবৃতি

টেন্ডার বানিজ্যে গণপূর্তে ছাত্রলীগেই আস্থা, হাজার কোটির টেন্ডার বানিজ্য করতে ভোলা থেকে রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন রিজু

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন ওরফে রিজু ছাত্রজীবনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিস্ববিদ্যালয়ে(কুয়েট) ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি আবু সুফিয়ান মাহাবুব লিমন কমিটির ছাত্রলীগ ক্যাডার ছিলেন। যথারীতি ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের বিশেষ বিসিএস ৩২ তম বিসিএস এ ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে ক্যাডার কর্মকর্তা বনে যান। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা হিসেবে প্রথম পোস্টিং পান ঢাকা ডিভিশন ১ এ সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে। শংকর মালোর স্টাফ অফিসার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করে আওয়ামী চেতনা বিক্রি করে তর তর করে কেবল উপরে উঠেছেন। এরপর একে একে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসাবে মিরপুর গণপূর্ত উপবিভাগ ১ এ পাচ বছর এবং ঢাকা গণপূর্ত উপবিভাগ-৬ এ সাড়ে চার বছর দুহাতে অবৈধ অর্থ কামিয়েছেন। এরপরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে চলতি দ্বায়িত্ব পাবার পরে প্রথম পোষ্টিং পান গাজীপুরে। এই গাজীপুরে যেয়ে তিনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের সাথে সখ্যতস গড়ে তোলেন। জাহাঙ্গীরের আস্থা ভাজন লোকদের সাথে মিলে নিজের আপন ভাই সহ টেন্ডার বানিজ্য করে লূটপাটের সর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেন। সেই টাকা দিয়ে গাজীপুরে ভূমি দস্যু সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজসে রিসোর্ট কিনেছেন মর্মে জানা যায়। তিনি জাহাঙ্গীরগং অন্যের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী দখল করে বেনামে চালাচ্ছেন । ২০২৪ এর জুলাই গণুভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরের পৈশাচিক ভূমিকা কারো অজানা নয়। ছাত্র জনতা হত্যায় এই রিজু শুধু অর্থ ও জনবল দিয়ে সাহায্য করেনি বরং নিজে মাথায় লাল ফিতা বেধে মোটর সাইকেলে চড়ে উত্তরা এলাকায় সরাসরি ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়েছেন। তিনি জাহাঙ্গীরের সাথে প্রায়ই নারী বান্ধবী সহ ইন্টার কন্টিনেন্টালে লাঞ্চ করতেন। জুলাই গনুঅভ্যুত্থানের সময় তিনি জাহাঙ্গীর সহ উত্তরা ক্লাবে রাতের বেলা মদের পার্টিতে একাধিক বার গোপন বৈঠক করেছেন । ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পরও সব কিছু সামলে নিয়েছিলেন রিজু। কিন্তু বিধিবাম। ছাত্র জনতার উপর গুলি চালানো এই সাবেক ছাত্রলীগের গুন্ডাকে সরাতে আইইবির বিএনপি পন্থী নেতারা এবং ততকালীন সমন্বয়করা প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করলে ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রধান প্রকৌশলী ২৫.৩৬.০০০০.২১৫.১৯.১০৩.২৪-১৪১৩ স্মারকে ভোলায় বদলী করতে বাধ্য হন। কথিত আছে বিভিন্ন সময়ে ঢাকায় বিএনপির জন সভা পন্ড করতে জাহাঙ্গীর বাহিনী যে রংকরা বাশ দিয়ে বেধড়ক পিটাতেন তা সাপ্লাই দিতেন আশ্রাফ উদ্দিন রিজু। আশরাফ গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগ থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর জুনে বিশ কোটি টাকা লোপাট করেছেন। সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীকে চার কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগে পোষ্টিং বাগিয়ে নিয়েছিলেন নেয়ার পর টাকার নেশায় দুর্নীতি ও অনিয়মের হোলি খেলায় নেমে ছিলেন। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান প্রকৌশলীর প্রজ্ঞাপন অমান্য করে এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে ২০% কমিশন নিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। এখানেই আশরাফ অপকর্ম শেষ নয় তিনি তার আপন ভাই এর প্রতিষ্ঠান কে ছয় কোটি টাকার একটি কাজ পাইয়ে দেন যা পিপিআর ও পিপিএ পরিপন্থী কারন একজন TEC মেম্বার নিকট অত্মীয় টেন্ডার অংশ গ্রহন করার কোন সুযোগ নেই যা গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের নথিপত্র ও ইজিপি পোর্টালে যাচাই করলে প্রমান পাওয়া যাবে। এই আশরাফ সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর আস্থাভাজন হওয়ায় জুন মাসে তিন কোটি টাকার RFQ করে কাজ না করে কোটেশন আহবান করার পরদিন বিল পরিশোধ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে ১০% লাভ দিয়ে পুরো টাকা হাতিয়ে নেন। আশরাফ অপকর্ম এখানেই থেমে থাকিনি উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকোশলীর দপ্তরের সাইন ও সিল মোহর ছাড়া ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান কে তিন কোটি টাকার বিল পরিশোধ করে ৩০% টাকা কমিশন নেন যা গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের নথিপত্র যাচাই করলে প্রমান পাওয়া যাবে। আশরাফের বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরে তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে মোঃ আশিক আহমেদ শিবলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকিউরমেন্ট সেল, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা আরেক সদস্য হলেন মোঃ বদরুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সাভার গণপূর্ত সার্কেল, ঢাকা ও সদস্য সচিব করা হয়েছে হাফসার মৌরি, নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রকিউরমেন্ট সেল, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা। প্রতিবেদক তদন্ত কমিটির আহবায়ক মোঃ আশিক শিবলী সাদিক কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন তদন্ত শেষ না হলে তদন্তের সার্থে কিছু বলা যাবে তবে এটুকু বলে যায় আশরাফ দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয় বেশ কিছু প্রমান পাওয়া গেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করবো প্রধন প্রকৌশলীর নিকট এটুকু বলতে পারি। এ বিষয় অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফ বলেন নতুন ভাবে যিনি গেছেন তিনিও (শারমিন আখতার) ফ্যাসিস্টের দোসর। কিছু সাংবাদিকদের বলেন তার বাড়ি গোপালগঞ্জ, আপনারা তার বিরুদ্ধে লিখছেন না কেন, তার অনেক বিতর্কিত কর্মকান্ড রয়েছে, সেগুলো লিখছেন না কেন? আশরাফ, গতবছর গ্রেফতার হওয়া টেন্ডার মাফিয়া নূসরাত হোসেনের ঘনিষ্ট। এই নূসরাতের বন্ধু প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তাই তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দিবেন তাতে সন্দেহ নেই। গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর আশীর্বাদপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা ১২ বছরের চাকুরি জীবনে কখনও ঢাকার বাহিরে একদিনের জন্যও চাকুরি করেন নি। আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এই নিয়ে খুব গর্বও করতেন তিনি সহকর্মীদের সাথে। ভোলায় বদলী হবার পর অঢেল টাকা ঢেলে নিজেকে বিএনপি পন্থী , কখনবা এনসিপি পন্থী প্রমান করতে চাচ্ছেন। বাড়ি পঞ্চগড় এই সুত্র ধরে বিএনপির একজন অত্যন্ত প্রভাব শালী নেতার পিএস কে ধরে ঢাকায় ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তাতে কাজ না হলে আবার অন্য ডালে পা দেন। এনসিপির এক নেতাকে নির্বাচনে ডোনেশন দিয়ে তদবীর করান। কিন্তু উপদেষ্টার কার্যালয় ম্যানেজ না হওয়ায় তিনি সে যাত্রায় সফল হননি। এখন রিজু ফন্দি এটেছেন রাঙ্গামাটিতে ১১৫০ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে , সেখানে গিয়ে টেণ্ডার বানিজ্য করবেন। খুনি হাসিনার কুকর্মের সহযোগী এই কর্মকর্তার যেখানে জেলে থাকার কথা সেখানে তাকে আরো দুহাতে টাকা কামানোর সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে তার আপা দিল্লী দাসি হাসিনাকে হুন্ডিকরে ভারতে টাকা পাঠানোর জন্য? আমরা অবিলম্বে তার গাজীপুর এ সঙ্গঘটিত দূর্নীতি অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন এর আলোকে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা দেখতে চাই। আই ওয়াশ বদলী কোন শাস্তি নয়। চাকুরি বিধিমালা ও প্রজাতন্ত্রের প্রচলিত আইনে তিনি দূর্নীতি ও কৃত ফৌজদারী অপরধের শাস্তি পেয়েছেন কিনা তা আমরা দেখতে চাই। যদি দুষ্টের দমন না হয় তবে সৎ ও ভালো কর্মকর্তা গন হতাশ হয়ে পড়বে, সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে , তখন এই আওয়ামী দালালরাই ‘মব, মব’ বলে মুখে ফেনা তুলবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Update

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ট্রাম্প পরিকল্পনায় ভেটো জেলেনস্কির

টেন্ডার বানিজ্যে গণপূর্তে ছাত্রলীগেই আস্থা, হাজার কোটির টেন্ডার বানিজ্য করতে ভোলা থেকে রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন রিজু

Update Time : 12:15:39 pm, Saturday, 19 July 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোলা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন ওরফে রিজু ছাত্রজীবনে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিস্ববিদ্যালয়ে(কুয়েট) ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন। তিনি আবু সুফিয়ান মাহাবুব লিমন কমিটির ছাত্রলীগ ক্যাডার ছিলেন। যথারীতি ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের বিশেষ বিসিএস ৩২ তম বিসিএস এ ২০০ নম্বরের পরীক্ষা দিয়ে ক্যাডার কর্মকর্তা বনে যান। বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের নেতা হিসেবে প্রথম পোস্টিং পান ঢাকা ডিভিশন ১ এ সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে। শংকর মালোর স্টাফ অফিসার হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করে আওয়ামী চেতনা বিক্রি করে তর তর করে কেবল উপরে উঠেছেন। এরপর একে একে উপবিভাগীয় প্রকৌশলী হিসাবে মিরপুর গণপূর্ত উপবিভাগ ১ এ পাচ বছর এবং ঢাকা গণপূর্ত উপবিভাগ-৬ এ সাড়ে চার বছর দুহাতে অবৈধ অর্থ কামিয়েছেন। এরপরে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে চলতি দ্বায়িত্ব পাবার পরে প্রথম পোষ্টিং পান গাজীপুরে। এই গাজীপুরে যেয়ে তিনি সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের সাথে সখ্যতস গড়ে তোলেন। জাহাঙ্গীরের আস্থা ভাজন লোকদের সাথে মিলে নিজের আপন ভাই সহ টেন্ডার বানিজ্য করে লূটপাটের সর্গরাজ্য বানিয়ে ফেলেন। সেই টাকা দিয়ে গাজীপুরে ভূমি দস্যু সিন্ডিকেটের সাথে যোগসাজসে রিসোর্ট কিনেছেন মর্মে জানা যায়। তিনি জাহাঙ্গীরগং অন্যের গার্মেন্টস ফ্যাক্টরী দখল করে বেনামে চালাচ্ছেন । ২০২৪ এর জুলাই গণুভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরের পৈশাচিক ভূমিকা কারো অজানা নয়। ছাত্র জনতা হত্যায় এই রিজু শুধু অর্থ ও জনবল দিয়ে সাহায্য করেনি বরং নিজে মাথায় লাল ফিতা বেধে মোটর সাইকেলে চড়ে উত্তরা এলাকায় সরাসরি ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়েছেন। তিনি জাহাঙ্গীরের সাথে প্রায়ই নারী বান্ধবী সহ ইন্টার কন্টিনেন্টালে লাঞ্চ করতেন। জুলাই গনুঅভ্যুত্থানের সময় তিনি জাহাঙ্গীর সহ উত্তরা ক্লাবে রাতের বেলা মদের পার্টিতে একাধিক বার গোপন বৈঠক করেছেন । ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পরও সব কিছু সামলে নিয়েছিলেন রিজু। কিন্তু বিধিবাম। ছাত্র জনতার উপর গুলি চালানো এই সাবেক ছাত্রলীগের গুন্ডাকে সরাতে আইইবির বিএনপি পন্থী নেতারা এবং ততকালীন সমন্বয়করা প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করলে ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে প্রধান প্রকৌশলী ২৫.৩৬.০০০০.২১৫.১৯.১০৩.২৪-১৪১৩ স্মারকে ভোলায় বদলী করতে বাধ্য হন। কথিত আছে বিভিন্ন সময়ে ঢাকায় বিএনপির জন সভা পন্ড করতে জাহাঙ্গীর বাহিনী যে রংকরা বাশ দিয়ে বেধড়ক পিটাতেন তা সাপ্লাই দিতেন আশ্রাফ উদ্দিন রিজু। আশরাফ গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগ থেকে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর জুনে বিশ কোটি টাকা লোপাট করেছেন। সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীকে চার কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগে পোষ্টিং বাগিয়ে নিয়েছিলেন নেয়ার পর টাকার নেশায় দুর্নীতি ও অনিয়মের হোলি খেলায় নেমে ছিলেন। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রধান প্রকৌশলীর প্রজ্ঞাপন অমান্য করে এলটিএম পদ্ধতির পরিবর্তে ওটিএম পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে ২০% কমিশন নিয়ে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন। এখানেই আশরাফ অপকর্ম শেষ নয় তিনি তার আপন ভাই এর প্রতিষ্ঠান কে ছয় কোটি টাকার একটি কাজ পাইয়ে দেন যা পিপিআর ও পিপিএ পরিপন্থী কারন একজন TEC মেম্বার নিকট অত্মীয় টেন্ডার অংশ গ্রহন করার কোন সুযোগ নেই যা গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের নথিপত্র ও ইজিপি পোর্টালে যাচাই করলে প্রমান পাওয়া যাবে। এই আশরাফ সাবেক মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর আস্থাভাজন হওয়ায় জুন মাসে তিন কোটি টাকার RFQ করে কাজ না করে কোটেশন আহবান করার পরদিন বিল পরিশোধ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে ১০% লাভ দিয়ে পুরো টাকা হাতিয়ে নেন। আশরাফ অপকর্ম এখানেই থেমে থাকিনি উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-বিভাগীয় প্রকোশলীর দপ্তরের সাইন ও সিল মোহর ছাড়া ঠিকাদরী প্রতিষ্ঠান কে তিন কোটি টাকার বিল পরিশোধ করে ৩০% টাকা কমিশন নেন যা গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের নথিপত্র যাচাই করলে প্রমান পাওয়া যাবে। আশরাফের বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগের বিষয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরে তিন সদস্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে মোঃ আশিক আহমেদ শিবলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকিউরমেন্ট সেল, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা আরেক সদস্য হলেন মোঃ বদরুল আলম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, সাভার গণপূর্ত সার্কেল, ঢাকা ও সদস্য সচিব করা হয়েছে হাফসার মৌরি, নির্বাহী প্রকৌশলী, প্রকিউরমেন্ট সেল, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা। প্রতিবেদক তদন্ত কমিটির আহবায়ক মোঃ আশিক শিবলী সাদিক কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন তদন্ত শেষ না হলে তদন্তের সার্থে কিছু বলা যাবে তবে এটুকু বলে যায় আশরাফ দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয় বেশ কিছু প্রমান পাওয়া গেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন দাখিল করবো প্রধন প্রকৌশলীর নিকট এটুকু বলতে পারি। এ বিষয় অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফ বলেন নতুন ভাবে যিনি গেছেন তিনিও (শারমিন আখতার) ফ্যাসিস্টের দোসর। কিছু সাংবাদিকদের বলেন তার বাড়ি গোপালগঞ্জ, আপনারা তার বিরুদ্ধে লিখছেন না কেন, তার অনেক বিতর্কিত কর্মকান্ড রয়েছে, সেগুলো লিখছেন না কেন? আশরাফ, গতবছর গ্রেফতার হওয়া টেন্ডার মাফিয়া নূসরাত হোসেনের ঘনিষ্ট। এই নূসরাতের বন্ধু প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তাই তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দিবেন তাতে সন্দেহ নেই। গাজী হাফিজুর রহমান লিকুর আশীর্বাদপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা ১২ বছরের চাকুরি জীবনে কখনও ঢাকার বাহিরে একদিনের জন্যও চাকুরি করেন নি। আমাদের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এই নিয়ে খুব গর্বও করতেন তিনি সহকর্মীদের সাথে। ভোলায় বদলী হবার পর অঢেল টাকা ঢেলে নিজেকে বিএনপি পন্থী , কখনবা এনসিপি পন্থী প্রমান করতে চাচ্ছেন। বাড়ি পঞ্চগড় এই সুত্র ধরে বিএনপির একজন অত্যন্ত প্রভাব শালী নেতার পিএস কে ধরে ঢাকায় ঢোকার চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। তাতে কাজ না হলে আবার অন্য ডালে পা দেন। এনসিপির এক নেতাকে নির্বাচনে ডোনেশন দিয়ে তদবীর করান। কিন্তু উপদেষ্টার কার্যালয় ম্যানেজ না হওয়ায় তিনি সে যাত্রায় সফল হননি। এখন রিজু ফন্দি এটেছেন রাঙ্গামাটিতে ১১৫০ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হয়েছে , সেখানে গিয়ে টেণ্ডার বানিজ্য করবেন। খুনি হাসিনার কুকর্মের সহযোগী এই কর্মকর্তার যেখানে জেলে থাকার কথা সেখানে তাকে আরো দুহাতে টাকা কামানোর সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে তার আপা দিল্লী দাসি হাসিনাকে হুন্ডিকরে ভারতে টাকা পাঠানোর জন্য? আমরা অবিলম্বে তার গাজীপুর এ সঙ্গঘটিত দূর্নীতি অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন এর আলোকে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা দেখতে চাই। আই ওয়াশ বদলী কোন শাস্তি নয়। চাকুরি বিধিমালা ও প্রজাতন্ত্রের প্রচলিত আইনে তিনি দূর্নীতি ও কৃত ফৌজদারী অপরধের শাস্তি পেয়েছেন কিনা তা আমরা দেখতে চাই। যদি দুষ্টের দমন না হয় তবে সৎ ও ভালো কর্মকর্তা গন হতাশ হয়ে পড়বে, সমাজে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে , তখন এই আওয়ামী দালালরাই ‘মব, মব’ বলে মুখে ফেনা তুলবে।