Dhaka 10:09 am, Tuesday, 16 September 2025
শিরোনাম:
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ট্রাম্প পরিকল্পনায় ভেটো জেলেনস্কির ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু সাংবাদিক তুহিন হত্যা মামলার চার্জশিট ১৫ দিনের মধ্যে: জিএমপি কমিশনার ছাত্রদলের কমিটির মাধ্যমে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে: শিবির সেক্রেটারি নির্বাচন সিস্টেমের উপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে : সিইসি সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানুষের প্রত্যাশার বাংলাদেশ গড়া সম্ভব: তারেক রহমান তারেক রহমান আমাদের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী: ফখরুল গণপূর্ত প্রকৌশলী ফ্যাসিবাদের অন্যতম দোসর আব্দুল্লাহ্ আল মামুন তারেক রহমান সর্ম্পকে কুটক্তি মন্তব্য করেও বহাল তবিয়তে টেন্ডার বানিজ্যে গণপূর্তে ছাত্রলীগেই আস্থা, হাজার কোটির টেন্ডার বানিজ্য করতে ভোলা থেকে রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন রিজু গোপালগঞ্জ পরিস্থিতি নিয়ে সেনাবাহিনীর বিবৃতি

সচিবালয়ে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ বিএসআরএফ বিলুপ্তির দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভেতরে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) বিলুপ্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য।

গতকাল সোমবার (২৩ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য- এর সংগঠক মো. ইমতিয়াজ হোসেন।

বক্তারা বলেন, “বিএসআরএফ সচিবালয়ের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে তদবির বাণিজ্য ও ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের ঘাঁটি হিসেবে কাজ করছে। সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকা ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, মাসুদুল হক ও উবায়দুল্লাহ বাদলের মতো সাংবাদিকরা শেখ হাসিনার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সচিবালয়ে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।”

তাদের অভিযোগ, “ফ্যাসিবাদের দোসর এই চক্রটি এখনও আওয়ামী আমলাদের স্বপদে রাখার জন্য সক্রিয়ভাবে তদবির চালিয়ে আসছে। তারা সাংবাদিকতার নাম করে সচিবালয়ে ‘দালালচক্র’ হিসেবে পরিচিত।”

‘বাদল এখন ডিগবাজির প্রতীক’
বক্তারা আরও বলেন, “বিএসআরএফ-এর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল আওয়ামী লীগের সময় আওয়ামী পন্থী সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সিরিজ রিপোর্ট করেছেন, একদিকে আওয়ামী দালাল, অন্যদিকে বিএনপির মুখোশ—এই দুই চরিত্রে নিজেকে সাজিয়ে সচিবালয়ে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাচ্ছেন।”

‘মাসউদুল হক শত কোটি টাকার মালিক’
আয়োজকরা বলেন, “সংগঠনের বর্তমান সভাপতি মাসউদুল হক ফ্যাসিবাদের ক্ষমতার সময়ে বহুমুখী সুবিধা আদায় করেছেন। আমলাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা করেছেন, আর বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের হেনস্তা করেছেন। তিনি এখন হাজার কোটি টাকার মালিক, স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেই এই অবস্থান তৈরি করেছেন।”

‘হাসিনা পালালেও দোসররা বহাল’

মানববন্ধনে বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, “যেখানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন, সেখানে তার দোসররা আজও কীভাবে প্রেসক্লাবের মতো জায়গায় নির্বাচনে অংশ নিতে সাহস পায়?” তারা বলেন, সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় তাদের উপস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, ফ্যাসিবাদ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের জন্য হুমকি।”

‘আন্তর্জাতিক দৃষ্টান্ত টেনে হুঁশিয়ারি’

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের নেতারা বলেন, “সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতনের সময় যেমন সহযোগীদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে, ইরানেও মোসাদের এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে সফল জুলাই বিপ্লবের পরও কেন ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার হচ্ছে না? আমরা এর জবাব চাই।”

তারা হুঁশিয়ারি দেন, “বিএসআরএফ যদি বিলুপ্ত করা না হয় এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সচিবালয়ে নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে আমরা দুর্বার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাসুম খন্দকার, ইকবাল মাহমুদ, সিরাজুল ইসলাম, কপিল উদ্দিন, রাব্বী, সজলসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যেরের নেতাকর্মীরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

News Update

জনপ্রিয় সংবাদ

ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের ট্রাম্প পরিকল্পনায় ভেটো জেলেনস্কির

সচিবালয়ে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ বিএসআরএফ বিলুপ্তির দাবিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের মানববন্ধন

Update Time : 08:22:55 am, Tuesday, 24 June 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভেতরে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ হিসেবে পরিচিত সাংবাদিক সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) বিলুপ্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য।

গতকাল সোমবার (২৩ জুন) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য- এর সংগঠক মো. ইমতিয়াজ হোসেন।

বক্তারা বলেন, “বিএসআরএফ সচিবালয়ের ভেতরে দীর্ঘদিন ধরে তদবির বাণিজ্য ও ফ্যাসিবাদের রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের ঘাঁটি হিসেবে কাজ করছে। সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকা ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, মাসুদুল হক ও উবায়দুল্লাহ বাদলের মতো সাংবাদিকরা শেখ হাসিনার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সচিবালয়ে মাফিয়াতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন।”

তাদের অভিযোগ, “ফ্যাসিবাদের দোসর এই চক্রটি এখনও আওয়ামী আমলাদের স্বপদে রাখার জন্য সক্রিয়ভাবে তদবির চালিয়ে আসছে। তারা সাংবাদিকতার নাম করে সচিবালয়ে ‘দালালচক্র’ হিসেবে পরিচিত।”

‘বাদল এখন ডিগবাজির প্রতীক’
বক্তারা আরও বলেন, “বিএসআরএফ-এর বর্তমান সাধারণ সম্পাদক উবায়দুল্লাহ বাদল আওয়ামী লীগের সময় আওয়ামী পন্থী সাংবাদিক হিসেবে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন, তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে সিরিজ রিপোর্ট করেছেন, একদিকে আওয়ামী দালাল, অন্যদিকে বিএনপির মুখোশ—এই দুই চরিত্রে নিজেকে সাজিয়ে সচিবালয়ে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতে চাচ্ছেন।”

‘মাসউদুল হক শত কোটি টাকার মালিক’
আয়োজকরা বলেন, “সংগঠনের বর্তমান সভাপতি মাসউদুল হক ফ্যাসিবাদের ক্ষমতার সময়ে বহুমুখী সুবিধা আদায় করেছেন। আমলাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলেছেন, ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তা করেছেন, আর বিএনপি-জামায়াতপন্থী সাংবাদিকদের হেনস্তা করেছেন। তিনি এখন হাজার কোটি টাকার মালিক, স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে কাজ করেই এই অবস্থান তৈরি করেছেন।”

‘হাসিনা পালালেও দোসররা বহাল’

মানববন্ধনে বক্তারা প্রশ্ন তোলেন, “যেখানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়েছেন, সেখানে তার দোসররা আজও কীভাবে প্রেসক্লাবের মতো জায়গায় নির্বাচনে অংশ নিতে সাহস পায়?” তারা বলেন, সচিবালয়ের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় তাদের উপস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য হুমকি, ফ্যাসিবাদ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশের জন্য হুমকি।”

‘আন্তর্জাতিক দৃষ্টান্ত টেনে হুঁশিয়ারি’

ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের নেতারা বলেন, “সিরিয়ার আসাদ সরকারের পতনের সময় যেমন সহযোগীদের বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে, ইরানেও মোসাদের এজেন্টদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ বাংলাদেশে সফল জুলাই বিপ্লবের পরও কেন ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার হচ্ছে না? আমরা এর জবাব চাই।”

তারা হুঁশিয়ারি দেন, “বিএসআরএফ যদি বিলুপ্ত করা না হয় এবং সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের সচিবালয়ে নিষিদ্ধ না করা হয়, তাহলে আমরা দুর্বার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হব।”
উক্ত মানব বন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মাসুম খন্দকার, ইকবাল মাহমুদ, সিরাজুল ইসলাম, কপিল উদ্দিন, রাব্বী, সজলসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যেরের নেতাকর্মীরা।